নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়ায় করোনা সংক্রমণ সময়ে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রুপচাঁদা মাছ পরিচয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ। সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়রা এসব নিষিদ্ধ মাছ বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। গতকাল চকরিয়া পৌরসদরের সোসাইটি মাছ বাজারে নিষিদ্ধ এসব মাছ বিক্রির ঘটনা ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডোবা বা পুকুরে পিরানহার উৎপাদন ও চাষ করা হচ্ছে। বিক্রির উপযুক্ত হলে এসব মাছ আড়ত ও বাজারে পাঠানো হয়। এ রাক্ষুসে পিরানহা বাজার ভেদে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর এই মাছের ক্রেতারা হচ্ছেন সাধারণ ও নিম্ন ম্যধ্যবিত্তরা। দেশি বা থাই রুপচাঁদা অথবা ‘সামুদ্রিক চান্দা’ নামে পিরানহা বিক্রি করছে বিভিন্ন বাজারে।
চকরিয়া পৌরসভার বাসিন্দা জাতীয় মৎস্যজীবি জেলে সমিতির কক্সবাজার জেলা সভাপতি আশরফ আলী চকরিয়া নিউজকে জানান, পিরানহা মাছের সরবরাহ প্রতিটি বাজারে কম বেশি রয়েছে। পিরানহা মাছ সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কিছুই জানেন না। পৌরশহরের সোসাইটি কাঁচা বাজার, মগবাজার উপজেলার চৌয়ার ফাঁড়ি বাজার, বদরখালী বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কিছু অসাধু মাছ বিক্রেতারা দেদারছে বিক্রয় করে আসছেন এ মাছ। অভিযোগ উঠেছে, এসব নিষিদ্ধ মাছ বাজারে সরবরাহ দিচ্ছেন স্থানীয় আড়তদরা।
বাজারের মাছ বিক্রেতারা জানান, কয়েক মাস ধরে পিরানহা মাছ বিক্রিয় করা হচ্ছে। দাম কম বলে নিম্ন আয়ের মানুষ এসব মাছ কিনে নিচ্ছেন। কোন আড়ত থেকে এসব মাছ নিয়ে এনেছেন জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, চিরিংগা কাঁচাবাজর ও বদরখালীর বিভিন্ন মাছের আড়ত থেকে তারা এই মাছগুলো কিনে এনেছেন। তবে, পিরানহা মাছ খেলে কি হয় তা তাদের জানা নেই।
বিক্রেতারা আরও জানান, এই মাছ বিক্রয়ে যে নিষেধ, তা তারা জানেন না। তবে আশপাশের মাছ বিক্রেতাসহ আরো অনেকেই বলেন, প্রতিদিনই বিভিন্ন বাজারে এই পিরানহা মাছ বিক্রিয় হচ্ছে। কম দাম হওয়ায় ও রূপচাঁদা মাছ মনে করে এই পিরানহা মাছ বাজার থেকে ক্রয় করে রান্না করেছেন অনেকেই।
পাঠকের মতামত: